নাজমুল ইসলাম, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে শাখা-বরাক নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ ৩ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে উচ্ছেদ অভিযানটি শুরু করে হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভেঙ্গে দেয়া হবে শাখা-বরাক নদীতে নির্মাণকৃত ১শ ১টি অবৈধবাড়ি দোকান পাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নবীগঞ্জ উপজেলা হাট, নবীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ও রিফাতপুর মৌজার অন্তর্গত শাখা বরাক নদীর তীরবর্তী চরগাঁও ব্রীজ হতে রিফাতপুর, বরাকনগর এলাকায় অবৈধ বসবাসকারীদের সরকারী ভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বসত ভিটি/দোকানভিটি নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে নবীগঞ্জ পৌরসভার গ্রোথ সেন্টার। উচ্ছেদ অভিযানের পুর্বে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার সুমাইয়া মমিন (ভূমি) এবং নবীগঞ্জ পৌরসভার সার্ভেয়ার লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেন অবৈধ স্থাপনা গুলো। তবে মাপযোগে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে বল জানা যায়। প্রথমে লাল দাগ দিয়ে গেলে ও অর্থের বিনিময়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে অনেকের স্থাপনা এবং গুঞ্জন রয়েছে সার্ভেয়ারদের বিরুদ্ধে। আজ রোজ মঙ্গলবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন হবিগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও অভিযানের নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রিট লুসিকান্ত হাজং। তাকে সহযোগিতা করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত,উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভনসহ বানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা,কর্মচারী ও নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ। এসময় তাদের সাথে ছিলেন নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী, প্যানেল মেয়র এটিএম সালাম, নবীগঞ্জ প্রেস-ক্লাবের সভাপিত মোঃ সরওয়ার শিকদার, সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া। এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন বলেন, যতদিন পর্যন্ত নদী দখল ও অবৈধভাবে স্থাপনা থাকবে ততদিন এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান প্রক্রিয়া এটি অব্যাহত থাকবে। মাপযোগে সার্ভেয়াররা অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন এমন গুঞ্জন রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সুমাইয়া মমিন বলেন অবৈধ স্থাপনা মাপযোগের সময় যারা আপত্তি করেছেন তারা আবেদন করেছেন। এবং যদি এরকম অনিয়মের কোন খবর পাওয়া যায় তবে তা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply